শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
জুলফিকার আমীন সোহেল,বিশেষ প্রতিনিধি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাফা বাজার এলাকার হাজী আব্দুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রশাসন দু‘দফা অভিযান পরিচালনা করলেও চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবৈধ চিকিৎসা কার্যক্রম। এতে সচেতন মানুষের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে। তাদের অবৈধ কার্য পরিচালনার নেপথ্যের খুঁটি কে ?
গত ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ক্লিনিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ঊর্মি ভৌমিক অভিযান পরিচালনা করেনে। এসময় ভুয়া ল্যাব টেকনোলজিস্ট আব্দুল্লাহকে ভ্রাম্যমান আদালতে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। এর আগে গত ৯ জুলাই ওই ক্লিনিক থেকে বরিশাল র্যাব-৮ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে ভুয়া চিকিৎসক আমির হোসেনকে আটক করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন এলাকার হাজী আব্দুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মানহীন যন্ত্রপাতি দিয়ে চিকিৎসার নামে কসাইখানা খুলে বসেছে। প্রসুতি মায়েদের সিজারের জন্য কোন এ্যনেসথিয়া ডাক্তার নেই, নেই এমবিবিএস ডাক্তার। নামসর্বস্ব হাতুরে ডাক্তার দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যে কারনে বিভিন্ন সময় একাধিক প্রসুতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মোটা অংকের টাকার বিনিময় ওই সকল রোগিদের স্বজনদের ম্যানেজ করেছে।
সরেজমিনে গেলে কোন কর্মকর্তা বা ডাক্তার পাওয়া যায়নি। প্রায় নর্দমাক্ত পরিবেশ, ভুতেরে পরিস্থিতির বিভিন্ন কক্ষ দেখা গেছে। জিসান (১৫) নামে একটি শিশু এসে বলে ফোন দিলেই ডাক্তার সময় মতো এসে যায়। বর্তমানে কে পরিচালকের দায়িত্বে আছেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে জিসান কারো নাম বলতে পারেনি। সে বলে আব্দুর রাজ্জাক সাহেবই বিদেশে বসে পরিচালনা করেন।
ম্যানেজার জসিম উদ্দিন বলেন, ক্লিনিকে ভুয়া ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছে এটা আমার জানা ছিলনা। র্যাব-৮ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে ভুয়া চিকিৎসক আমির হোসেনকে আটক করার পর জানতে পেরেছি সকল কার্যক্রম অবৈধ। তাই আমি চাকরি ছেড়ে চলে এসেছি।
হাজী আব্দুর রাজ্জাক স্ব-পরিবারে বিদেশে থাকায় ও ক্লিনিক পরিচালনায় স্থানীয় কোন কর্মকর্তাকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যপারে পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ জাকির হোসেন বলেন, তদন্ত পূর্বক ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।